, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


বন্যায় ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুটি পুনঃনির্মাণ 

  • আপলোড সময় : ০৮-১০-২০২৩ ১১:৪৩:০১ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৮-১০-২০২৩ ১১:৪৩:০১ পূর্বাহ্ন
বন্যায় ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুটি পুনঃনির্মাণ 
মোহাম্মদ রিদুয়ান হাফিজ চকরিয়া প্রতিনিধি: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া-কোনাখালী ইউনিয়নের কাঠের সেতুটি পুন:নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঢেমুশিয়া-কোনাখালী ইউনিয়নের কাঠের সেতুটি বন্যার সময় ভেঙে যাওয়ার খবর প্রকাশিত হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজরে আসে।চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি কাঠের সেতুটি ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর  প্রকৌশল(এলজিডি) বরাবর অভিহিত করেন।ফলে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের  প্রকৌশলী (এলজিডি) কাঠের সেতুটি পুন:নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেন।

বন্যায় কাঠের সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে ঢেমুশিয়া ও কোনাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দা যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়েছে।সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে এই দুই ইউনিয়নের অধিকাংশ মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম ছিল নৌকা। কাঠের সেতুটি পুন:নির্মাণ হওয়ায় দুই পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে একটু স্বস্তি ফিরল।

ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম.মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন,কাঠের সেতুটি ভেঙে যাওয়ার কারণে ঢেমুশিয়া ও কোনাখালী ইউনিয়নের দশ বা এগারো গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যমটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।তাদের যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হয়েছিল।তাই আমি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর প্রকৌশলী(এলজিডি)বরাবর অভিহিত করি।ফলে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর  কাঠের সেতুটি পূন:নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেই।

তিনি আরো বলেন,এই কাঠের সেতুটি পুন:নির্মাণ করলে হবে না। এখানে স্থায়ীভাবে একটা নতুন সেতু বা ব্রিজ নির্মাণ করা খুব দরকার। কারণ এই কাঠের সেতুটির বয়স প্রায় ৩২ বছর হয়ে গেছে। 

দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন,কাঠের সেতুটি পুন:নির্মাণ করায় আমাদের ছেলে মেয়েরা ঠিকভাবে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যাতায়াত করতে সম্ভব হচ্ছে।বন্যায় সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।সেতুটি পুন:নির্মাণ হওয়ায় আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। তারা আরো বলেন,আমাদের জোর দাবি হচ্ছে ঢেমুশিয়া ও কোনাখালী ইউনিয়নের বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য একটা স্থায়ীভাবে ব্রীজ বা সেতু নির্মাণের জন্য।

স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের (এলজিডি) চকরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী শেফায়েত ফারুক চৌধুরী বলেন,বন্যায় ভেঙে যাওয়া কাঠের সেতুটি নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলাম। সে টাকা গুলো ব্যয়ের মধ্যে দিয়ে কাঠের সেতুটি মেরামত বা পুন:নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া এখানে একটা নতুন সেতু নির্মাণ করার জন্য সকল প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের  কাছে প্রেরণ করেছি।আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটা ভালো ফলাফল আসবে।